Phone:
+88 01927 525364, +88 01712 086102

লালন – Lalon

Synopsis of the film Lalon

  • চলচ্চিত্র: লালন (in English: Lalon)
  • ভাষা: বাংলা
  • দেশ: বাংলাদেশ
  • সাব-টাইটেল: ইংরেজি
  • চিত্রনাট্য কাহিনী ও পরিচালনা: তানভীর মোকাম্মেল (Tanvir Mokammel)
  • নিবেদক: অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু
  • ফরম্যাট: ৩৫ মি. মি. / রঙিন
  • দৈর্ঘ্য: ২ ঘন্টা ২০ মিনিট
  • চিত্রগ্রহণ: আনোয়ার হোসেন
  • সম্পাদনা: মহাদেব শী
  • আবহসঙ্গীত: সৈয়দ সাবাব আলী আরজু
  • শব্দ গ্রাহক: আবদুস সাত্তার রিপন
  • মেকাপম্যান: আবদুর রহমান
  • শিল্প নির্দেশনা: উত্তম গুহ
  • স্থিরচিত্র: রাকিবুল হাসান
  • পোষাক: চিত্রলেখা গুহ
  • প্রধান সহকারী পরিচালক: জাইবুল আনাম খান
  • কণ্ঠশিল্পী: ফরিদা পারভীন, কাঙ্গালিনী সুফিয়া, পাগলা বাবলু, কার্তিক দাস বাউল, রুশিয়া পারভীন, বলাই শাহ্, ফরিদা ইয়াসমিন, চিত্রলেখা গুহ, আশুতোষ অধিকারী, সৈয়দ সাবাব আলী আরজু, সুলতানা কানিজ ফাতেমা, তামান্না নিগার তুলি
  • অভিনেতা ও অভিনেত্রী: রাইসুল ইসলাম আসাদ, শমী কায়সার, আজাদ আবুল কালাম, তামান্না ইয়াসমিন তিথি, চিত্রলেখা গুহ, খুরশীদুজ্জামান উৎপল, ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, রামেন্দু মজুমদার, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টু শাহ্, কার্তিক দাস বাউল, সাইদুর রহমান বয়াতী, পাগলা বাবলু, ফকির বলাই শাহ্, ফকির সেলিম শাহ্, কৃষ্ণা ঘোষ, অর্ক প্রমুখ
  • প্রযোজনা: কিনো-আই ফিল্মস (Kino-Eye Films)
  • নির্মাণকাল: ২০০৪
  • মুক্তি: ২০০৪
তানভীর মোকাম্মেল নির্মিত লালন চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং শমী কায়সার।
তানভীর মোকাম্মেল নির্মিত লালন চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং শমী কায়সার।
লালন (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা (বাম থেকে) রামেন্দু মজুমদার কমল সরকার ও রাইসুল ইসলাম আসাদ।
লালন (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা (বাম থেকে) রামেন্দু মজুমদার, কমল সরকার ও রাইসুল ইসলাম আসাদ।

কাহিনী সংক্ষেপ

লালন ফকির (? – ১৮৯০) বাংলার বাউল-ফকিরদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছেন। প্রায় সহস্রাধিক বাউল গানের রচয়িতা লালন ফকির একজন অতি উচ্চমানের সাধক ও সঙ্গীতস্রষ্টা। তৎকালীন নদীয়া জেলার অন্তর্গত (অধুনা কুষ্টিয়া) ছেঁউড়িয়া আশ্রমবাসী লালন ফকিরের সঙ্গীতে ও জীবনদর্শনে বাংলার লোকজ মরমী সাধনার ঐতিহ্যের ছাপ সুগভীর। তাঁর গানে সংগুপ্ত রয়েছে ইসলামী সুফীবাদ, বৌদ্ধ তান্ত্রিকতা ও হিন্দু বৈষ্ণববাদের সুনির্দিষ্ট প্রভাব।

বক্তব্যের গভীরতায় এবং মননে ও মেধায় শাণিত লালনের গান পরবর্তী প্রজন্মের বাউল-ফকিরদের উপর নির্ধারক প্রভাব রেখেছে এবং সে প্রভাব এখনও সমানভাবে ক্রিয়াশীল। তাঁর গানের মাধূর্য্য ও সুরের সৌন্দর্য্য যুগ যুগ ধরেই বাঙ্গালীকে আপ্লুত করে এসেছে। বাউলতত্ত্ব নিয়ে রচিত লালনের গানের রয়েছে দ্বৈতরূপ। উপরস্তরে তা মূলত: ঈশ্বরবন্দনা ও প্রেমের গান কিন্তু গভীরতর স্তরে তা বাউল-ফকিরদের মরমী দর্শনের নানা প্রতীকে সমৃদ্ধ।

লালন ফকির যদিও মাত্র একশ তেরো বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন কিন্তু তাঁর সম্পূর্ণ জীবনকাঠামো সম্পর্কে পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। তাঁর জীবন সম্পর্কে এখনও রয়েছে বেশ কিছু অজানা পর্ব। চলচ্চিত্রটিতে লালনের যাঁরা নিকটজন ছিলেন যেমন তাঁর সাধনসঙ্গিনী বিশাখারানী, পালিতা কন্যা প্যারিন্নেসা, প্রিয় শিষ্য ভোলাই শাহ্, শীতল শাহ্, মনিরুদ্দী শাহ্ এবং লালনের আশ্রমবাসী ভক্ত বাউল-ফকিরদের সঙ্গে তাঁর আন্ত:সম্পর্কের মাধ্যমে লালনের একটা জীবনচিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। লালনের বিশ্বাস ও জীবনদর্শনের নানা দিককে তাঁর সঙ্গীতের বাণীর মাধ্যমে চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সে সময়কার বাংলার উল্লেখযোগ্য কিছু ঐতিহাসিক চরিত্র, যেমন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাঙ্গাল হরিনাথ ও মীর মোশারফ হোসেনের মত ব্যক্তিত্বরা, যাঁরা বিভিন্ন সময়ে লালনের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরকেও ছবিতে উপস্থিত করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে লালনের শৈশবকাল, যৌবন, পরিণত বয়স, বার্ধক্য এবং মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের বিভিন্ন পর্যায়সমূহ ধারিত হয়েছে।

অর্জন

লালন চলচ্চিত্রটি একটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত।