Phone:
+88 01927 525364, +88 01712 086102
জীবনঢুলী – Jibondhuli (The Drummer)
Synopsis of the film Jibondhuli
- চলচ্চিত্র: “জীবনঢুলী” (in English: The Drummer)
- ভাষা: বাংলা
- দেশ: বাংলাদেশ
- সাব-টাইটেল: ইংরেজি
- চিত্রনাট্য কাহিনী ও পরিচালনা: তানভীর মোকাম্মেল (Tanvir Mokammel)
- ফরম্যাট: ডিজিটাল / রঙিন
- দৈর্ঘ্য: ৯০ মিনিট
- চিত্রগ্রহণ: মাহফুজুর রহমান খান
- সম্পাদনা: মহাদেব শী
- আবহসঙ্গীত: সৈয়দ সাবাব আলী আরজু
- পোষাক: চিত্রলেখা গুহ
- রূপসজ্জা: দীপক সুর
- শিল্পনির্দেশনা ও প্রধান সহকারী পরিচালক: উত্তম গুহ
- সহকারী পরিচালক: সগীর মোস্তফা ও রানা মাসুদ
- অভিনেতা ও অভিনেত্রী: শতাব্দী ওয়াদুদ, জামিলুর রহমান শাখা, ওয়াহীদা মল্লিক জলি, চিত্রলেখা গুহ, জ্যোতিকা জ্যোতি, প্রাণ রায়, তবিবুল ইসলাম বাবু , উত্তম গুহ, রাফিকা ইভা, ইকবাল হোসেন, পরেশ আচার্য্য, আব্দুল হান্নান শেলী, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, মৃণাল দত্ত, রিমু খন্দকার, রামেন্দু মজুমদার, আনিছুর রহমান সেলিম, সৈয়দ সাবাব আলী আরজু, ইকবাল আহমেদ, অরণ্য, লক্ষ্মী, এস.এ.এ. বুখারী
- প্রযোজনা: কিনো-আই ফিল্মস (Kino-Eye Films)
- সহ-প্রযোজনা: কারুকাজ
- নির্মাণকাল: ২০১৩
- মুক্তি: ২০১৩
কাহিনী সংক্ষেপ
১৯৭১ সাল। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার অন্তর্গত পরাণপুর গ্রামের গরীব ঢাকি জীবনকৃষ্ণ দাস “জীবনঢুলী” নামেই বেশী পরিচিত ছিল। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আগে গরীব ঢাকি জীবনঢুলীর জীবন কাটছিল সুখে-দুঃখে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরাণপুর গ্রাম আক্রমণ করলে শরণার্থী হিসেবে ভারতে পলায়নের সময় জীবনঢুলীর স্ত্রী ও সন্তানেরা চুকনগর গণহত্যায় নিহত হয়। জীবনঢুলী সীমান্ত পার না হয়ে গ্রামে ফিরে আসে। পরাণপুর গ্রামে তখন মালেক শিকদারের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর দোর্দণ্ডপ্রতাপ। রাজাকাররা জীবনঢুলীকে বাঁচিয়ে রাখে এই শর্তে যে ওকে রাজাকার বাহিনীর বাজনদার হিসেবে ঢোল বাজাতে হবে। নানা অপমান ও লাঞ্চনা সয়ে রাজাকারদের ঢোলবাদক হয়ে কাটতে থাকে জীবনঢুলীর দিন।
যুদ্ধের আগে পাশের গ্রামের স্বচ্ছল দত্তদের বাড়ীতে দূর্গাপুজার ঢাক বাজাতে যেত জীবনঢুলী। ওখানে সে দত্তদের বাড়ীর সুন্দরী তরুণী বউটিকে দেখেছিল যার শুচিতা ও সৌন্দর্য্য জীবনঢুলীকে মুগ্ধ করেছিল। যুদ্ধের সময় রাজাকারদের হাতে বন্দী হয় দত্তবাড়ীর সেই বউটি। জানালার শিকের ফাঁকে মাঝে মাঝে সেই বন্দী নারীর মুখ দেখতে পায় জীবনঢুলী।
যুদ্ধের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধারা পরাণপুর গ্রামে সফল আক্রমণ চালায়। রাজাকাররা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে যে বাড়ীটাতে “দত্তবাড়ীর বউ” টি আটকে ছিল সেই বাড়ীটাতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায়। জানালার শিকের মাঝে একবার কেবল দেখা যায় বউটির ভয়ার্ত মুখ। জীবনঢুলী আগুনে-পুড়তে-থাকা বাড়ীটার চারপাশে পাগলের মত ঘুরে ঘুরে ঢোল বাজাতে থাকে! প্রথমে ধীরে, পরে দ্রুত লয়ে।