Phone:
+88 01303 616741, +88 01783 502242

Physical address:
House-39/A, Flat-B3, Road-4/A
Dhanmondi, Dhaka-1209, Bangladesh

রূপসা নদীর বাঁকে – Rupha Nodir Banke

Synopsis of the film Rupsa Nodir Banke

  • চলচ্চিত্র: রূপসা নদীর বাঁকে – Rupsa Nodir Banke (in English: Quiet Flows The River Rupsa)
  • ভাষা: বাংলা
  • দেশ: বাংলাদেশ
  • সাব-টাইটেল: ইংরেজি
  • চিত্রনাট্য, কাহিনী ও পরিচালনা: তানভীর মোকাম্মেল (Tanvir Mokammel)
  • ফরম্যাট: ডিজিটাল / রঙিন
  • দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট
  • নিবেদক: নাজমা আক্তার
  • চিত্রগ্রহণ: মাহফুজুর রহমান খান
  • সম্পাদনা: মহাদেব শী
  • আবহসঙ্গীত: সৈয়দ সাবাব আলী আরজু
  • প্রধান সহকারী পরিচালক: উত্তম গুহ
  • পোশাক: চিত্রলেখা গুহ
  • মেকআপ: মোহাম্মাদ বাবুল
  • শিল্পনির্দেশক: উত্তম গুহ
  • সহকারী পরিচালক: রানা মাসুদ
  • সহকারী পরিচালক: সৈয়দ সাবাব আলী আরজু
  • সহকারী পরিচালক: সগীর মোস্তফা
  • শব্দ গ্রহণ: কাজী সেলিম
  • শব্দ পরিকল্পনা ও মিশ্রণ: অমিত কুমার দত্ত
  • রং মিশ্রণ: মানস ভট্টাচার্য্য
  • গ্রাফিক্স: ওয়াসিউদ্দিন আহমেদ
  • ফলি আর্টিস্ট: উত্তম লস্কর
  • ফোকাস পুলার: মহিউদ্দীন রানা
  • লাইট গ্রাফার: মোহাম্মাদ উজ্জল
  • ব্যবস্থাপক-প্রোডাকশন: গাজী মিজান
  • খাবার সরবরাহ: মোহাম্মাদ ফারুক
  • ট্রান্সপোর্ট: মোহাম্মাদ মোক্তার হোসেন
  • প্রযোজনা: কিনো-আই ফিল্মস (Kino-Eye Films)
  • নির্মাণকাল: ২০২০
  • মুক্তি: ২০২০
  • অভিনেতা ও অভিনেত্রী: জাহিদ হোসেন শোভন, খায়রুল আলম সবুজ, নাজিবা বাশার, রামেন্দু মজুমদার, চিত্রলেখা গুহ, ঝুনা চৌধুরী, আবদুল্লাহ রানা, আফজাল কবির, মাসুম বাশার, উত্তম গুহ, বৈশাখী ঘোষ, রাজীব সালেহীন, পাভেল ইসলাম, শরীফ হোসেন ইমন, পংকজ মজুমদার, ইকবাল আহমেদ, ইব্রাহীম বিদ্যুৎ, শ্যামল বিশ্বাস, স্বপন গুহ, আছিরউদ্দীন মিলন, মেহেদী আল আমীন, তওসিফ সাদমান তূর্য (শিশু শিল্পী), হিয়া (শিশু শিল্পী), হিমু (শিশু শিল্পী)
রূপসা নদীর বাঁকে চলচ্চিত্রের পোস্টার।
রূপসা নদীর বাঁকে চলচ্চিত্রের পোস্টার।
রূপসা নদীর বাঁকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান শোভন ও চিত্রলেখা গুহ।
রূপসা নদীর বাঁকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান শোভন ও চিত্রলেখা গুহ।

কাহিনী সংক্ষেপ

খুলনা জেলার রূপসা নদীর পারে কর্ণপাড়া গ্রামে এক ক্ষয়িষ্ণু সামন্ত পরিবারে জন্ম মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের। শৈশবে পিতৃহীন তরুণ মানব বৃটিশ আমলে “অনুশীলন” ও পরে বামপন্থী আন্দোলনে যোগ দেন। কৃষক আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এলাকার সবার কাছে ক্রমে “কমরেড মানবদা” নামে পরিচিত ও সম্মানিত হয়ে ওঠেন। দরিদ্র নম:শুদ্র কৃষকেরা ওঁকে ডাকত “কমরেড ঠাকুর” বলে।

প্রথমে বৃটিশ সরকার ও পরে পাকিস্তান আমলে জেল-জুলুম নির্যাতন ও নানা সংগ্রামের মাঝে ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ জীবন মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের। ওঁর জীবনের সবচে বড় অর্জন ছিল ডাকাতিয়ার বিলে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের জন্যে হাজার হাজার বিঘা কৃষিজমি উদ্ধার করা। আর সবচে ভয়াবহ অভিজ্ঞতাটা হোল ১৯৫০ সালে রাজশাহীর খাপড়া জেল ওয়ার্ডে জেলবন্দীদের গুলি করে মারার ঘটনাটি, যে ঘটনার তিনি ছিলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

১৯৪৭-য়ের দেশভাগের পরে একে একে ভারতে চলে যেতে থাকে মানব মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়-স্বজন ও পুরনো সঙ্গীরা। কিন্তু মানব মুখোপাধ্যায় রয়ে যান ওঁর প্রিয় দরিদ্র মুসলমান-হিন্দু কৃষকদের মাঝে। পাকিস্তানী আমলের শত প্রতিকূলতার মাঝেও সমাজ প্রগতির জন্যে কাজ করে যেতে থাকেন। ১৯৭১ সালে রাজাকাররা মানব মুখোপাধ্যায়কে হত্যা করে।

চির অবিবাহিত মানব মুখোপাধ্যায়ের শৈশবে এক প্রেমিকা ছিল। ছিল এক অনুরক্তাও। কিন্তু দেশবিভাগের ডামাডোলের মাঝে হারিয়ে যায় ওঁর বাল্যপ্রেমিকা উর্মিমালা। হারিয়ে কী যায় !

ভাগ্যতাড়িত এক বামপন্থী নেতা এবং ওঁর সময় ও যুগকে নিয়ে ছবির কাহিনী “রূপসা নদীর বাঁকে”।